কোটালীপাড়ায় মটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া এবং ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
কোটালীপাড়া(গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধি:- শেখ কামরুজ্জামান (রানা)।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গভীর রাতে ব্যবসায়ীকে মারধোর করে মটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনটন বিশ্বাস (২৫) নামের এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাত ৪ টার দিকে উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারধোরের শিকার ব্যবসায়ী ইমতাজ সুলতান শাওনকে (২৩) কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাওন উপজেলার উত্তরপাড় গ্রামের খাইরুল বাশার নান্নু মিয়ার ছেলে ও সিকিরবাজার এলাকার গ্যাস ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত ক্লিনটন বিশ্বাস রামশীল গ্রামের দীপক বিশ্বাসের ছেলে ও রামশীল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের কর হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুড়ে ফেলা মটর সাইকেল উদ্ধার করেছে।

আহত শাওন বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২ টি মটর সাইকেলে আমার বন্ধু রসূল ফুকির (১৭), ফোরদৌস ঘরামী (১৮), সোয়াত শেখ (২০), হৃদয় শিকদার (২৪), আখিনুর (২১) কে নিয়ে ঘুরতে বের হই। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মুশরিয়া গ্রামে পুজা দেখে বাড়িতে ফেরার পথে খাগবাড়ি এলাকায় অপর দিক থেকে আসা ৫ টি মটর সাইকেল আমাদের ক্রস করতে গিয়ে চাপ দেয় এতে আমরা মটর সাইকেল নিয়ে পড়ে যাই। বিষয়টি নিয়ে তাদের পিছনের মটর সাইকেলে থাকা ছাত্রদল নেতা ক্লিনটন বিশ্বাসকে এভাবে এভাবে মটর সাইকেল চালানোর কারন জানতে চাই। এত সে আমাদের উপর চড়াও হয়। ফোন করে রামশীল গ্রামের মিঠুন তালুকদার (২৮), শুভজিত হালদার(২৪)সহ ১০/১২ জনকে ডেকে এনে এস এস পাইপ ও গাছের চলা দিয়ে আমাদের বেদম মারপিট করে আমাদের সঙ্গে থাকা এবিএস সুজুকি (গোপালগঞ্জ ল-১১-৭৬৫৪)মটর সাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমাকে কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে জানতে পারি আমাদের মটর সাইকেলটি রামশীল ব্রিজের উপর নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছে।
রামশীল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ক্লিনটন বিশ্বাস বলেন, গ্যাস ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ ইসলাম শাওন কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে আমাদেরকে মারধর করে। একপর্যায়ে এলাকাবাসী এসে ইমতিয়াজ ইসলাম শাওনের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে। আমরা কেউ ইমতিয়াজ ইসলাম শাওনকে মারধর করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনায় যদি ছাত্রদলের কেউ করে থাকে বা জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে পুড়িয়ে ফেলা মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ইমতাজ সুলতান শাওনের সাথেও কথা হয়েছে। এ ঘটনায় খাইরুল বাশার নান্নু মিয়া নামে এক ব্যক্তি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।এ ব্যপারে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই ছাড়ে দেওয়া হবেনা।