
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ
প্রতিবেদক : আনোয়ার হোসেন
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। সুস্থ, সবল ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে তাদের শৈশবেই প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা। অনেক সময় আমরা শিশুর রুচি বাড়ানোর জন্য চিপস, চুইংগাম, আচার কিংবা বিভিন্ন ভাজাপোড়া খাবার হাতে তুলে দিই। এগুলো সাময়িক আনন্দ দিলেও দীর্ঘমেয়াদে শিশুদের শারীরিক ক্ষতি ডেকে আনে।

এসব জাঙ্ক ফুড শিশুদের আসল ক্ষুধা নষ্ট করে দেয়।
মুখের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়, ফলে ভাত, শাকসবজি, মাছ, মাংস বা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে না।
নিয়মিত এসব খাবার খেলে দাঁতের ক্ষয়, পেটের অসুখ, রক্তশূন্যতা এবং অপুষ্টির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাই আজ থেকেই সচেতন হতে হবে।
শিশুর খাবারের তালিকায় রাখতে হবে দুধ, ডিম, শাকসবজি, ফলমূল, মাছ ও মাংস।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মোবাইল, টিভি বা অস্বাস্থ্যকর বিনোদনের বদলে খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে।
নিয়মিত ঘুম ও বিশ্রাম শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অপরিহার্য।
প্রতিটি মা-বাবার মনে রাখতে হবে—শিশুরা যা খায়, যেমন অভ্যাস গড়ে তোলে, তাই তার আগামী দিনের জীবন নির্ধারণ করে। আজ যদি আমরা অসচেতন হই, তাহলে ভবিষ্যতের প্রজন্ম দুর্বল, অসুস্থ ও মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়বে। আর যদি আমরা এখন থেকেই পুষ্টিকর খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পরিবেশ নিশ্চিত করি, তবে আমাদের শিশুরাই হবে আগামী দিনের শক্তিশালী, সুস্থ ও আদর্শ নাগরিক।
শিশুর প্রতি যত্নশীল হোন, তাদের হাসি খুশি বড় হতে দিন।
কারণ— আজকের শিশু, আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।